সপ্তভূত: অংশুমান কর এর কবিতাগুচ্ছ
জল
কত মানুষ পা ধুয়ে গেল।
স্নান করল কত মানুষ।
আবর্জনা ফেলে গেল আরও কেউ কেউ।
তবুও সে পবিত্র।
জলে কেউ দাগ রেখে যেতে পারল না।
মাটি
তোমার ওপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ি।
হাত ছড়ে যায়।
তোমার ওপর ভর রেখেই
আবার সটান দাঁড়াই।
তুমি মা নও।
বেত হাতে ক্লাসে ঢোকা
তিন যুগ আগের মাস্টারমশাই।
ফুল
ফুলের মতো সুন্দর হয়ে উঠলেও উঠতে পারে
কিন্তু
চেষ্টা করলেও মানুষ ফুলের মতো সাধক
হয়ে উঠতে পারবে না।
মানুষের জন্ম আর মৃত্যুকে ঘিরে
কত হাসি, কান্না, গুঞ্জন–
ফুলের জন্ম আর মৃত্যু শব্দহীন।
শূন্য
লিখলাম। আকার।
আঁকলাম। আকার।
অনুভব করলাম। নিরাকার।
শূন্য ঠান্ডা। শূন্য গরম।
শূন্য প্রেম। শূন্য বিচ্ছেদ।
শূন্য আকাশ। সুর।
হাওয়া
তোমাকে বন্ধু যারা ভাবে
তারা বোকা।
ছোঁয়া দিয়ে চলে যাও,
সব দেশেই তুমি পরদেশী।
অগ্নি
খাও, খাও, খাও।
হাঁ করে থাক। হাঁ করে।
সর্বভূক।
প্রতাপ-অন্বিত।
তুমি মেদিনীর রেত।
তোমাকে শাসন করতে পারে
অম্বু ও তন্দুর,
জল ও যোনি।
গান
জন্মায়। জন্মায়। জন্মায়।
মারা যায়। মারা যায়। মারা যায়।
কণ্ঠে কণ্ঠে। একই কণ্ঠে।
গানই কৃষ্ণ।
কারও কানু, কারও দীনবন্ধু, কারও মাধব,
কারও নৃসিংহমুরারি।
*অংশুমান কর: কবি, কলকাতা, ভারত।
আরও পড়ুন- মে দিবসের কবিতা