পদাবলিপ্রচ্ছদ

একগুচ্ছ কবিতা- জামিল হাদী

বেতার কেন্দ্র

সবাই আশ্বাসের মাইকিং করে।
আস্থাভাজনতার আস্তাবল সাজে।
ঘোড়ার খুরে লেগে থাকা মরা জোঁকের মতোই আশাবাদী তাদের আশ্বাস।
অথচ সেই ওয়াদার ওপরে কত মানুষের অগাধ ভরসা!
কিছু বোকা লোক সেসবের ওপর অট্টালিকা বানিয়ে ফেলে।
কিছু বোকা লোক ভাবে সমুদ্রের খনিজ এবার তাদের।
কিছু বোকা লোক ভাবে কাঠবিড়ালির কপাল আর তাদের কপাল এক না।

কিছু বোকা লোক আমৃত্যু ভাবে – তাদেরকে কেউ ঠকাবে না। তাদের এই আত্মতুষ্টির সম্প্রচার কখনোই কোনো রেডিও স্টেশনে শোনা যায় না।

 

ইনফেকশন

পৃথিবীর সব সুন্দর ইনফেকটেড।
যেমন তোমাকে ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর আর কিছু তো নেই! ক্ষতি, ধ্বংস জেনেও ভালোবাসতে হচ্ছে তবুও। কারণ আনন্দ-জীবাণুর কোনো এন্টিবায়োটিক নেই।
ভালোবাসা নিজেই একটা মেটাফোর।
সৃষ্টি /ধ্বংস/ আক্ষেপ/অপেক্ষা সবই ভালোবাসার সর্বনাম।

দুনিয়ায় কাঠগড়া একমাত্র সংক্রমণ মুক্ত।
সে বাদী, বিবাদী কারোরই ভালোবাসা পায় না।

 

লবণের ফাঁদ

টাকার চেয়ে সুরেলা কোনো কবিতা নাই।
দার্শনিকরা অবশ্য অনেক কথা বলে।
সেসব কথা মুখে মুখে দামী।
সম্পর্কের ওভারব্রীজ ভেঙে পড়ে পয়সাহীনতায়।
রিখটার স্কেল জ্ঞান হারায় আত্মীয়ের আচরণে।
এমন কোনো পারিবারিক মাল্টিপ্লেক্স নেই যেখানে পয়সা বিচারকের ভূমিকা নিতে ব্যর্থ।

তরকারীতে নুন বেশি হয়ে গেলে খাওয়া যায় না।
খিদে পেটে কবিতাও তাই। অতিরিক্ত নোনা।

 

আরও পড়ুন- জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কবি জামিল হাদীর “ফেরাউন বধ”