পদাবলিপ্রচ্ছদ

একগুচ্ছ কবিতা- জামিল হাদী

সালতানাত

প্রতিটা ব্যর্থতায় তোমাকে দাগী আসামী বানিয়ে এন্তার শাপশাপান্ত করেছি।

জ্বালানী কখনো নিজের দোষ খুঁজে পায় না।

আগুনের লেলিহানই কাঠগড়ায় ওঠে প্রতিবার।

প্রতিটা সফলতায় আমি শুধু নিজেকেই পেয়েছি।

হাততালির ভেতরে ভুলে গিয়েছি এই নামযশ আমার

দিকে এতিমের মতো তাকিয়ে ছিলো কখন আমি

তোমার নামে শুরু করি আমার ভাষণ।

প্রতিটা মর্মন্তুদ একাকীত্বে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় চেয়েছি।

তোমার অনুগামী হয়ে নয়, স্রেফ স্বার্থগামী হয়ে।

আমি প্রতিবার নিজেকে নাজেহাল করেছি।

তোমাকে কখনো দোষী বানিয়েছি, কখনো বলেছি অপরিচিত,

কখনো উপায়হীন হয়ে সাময়িক ত্রাতা বানিয়ে পার করেছি বিগ্রহকাল।

আমার পাপের বয়ান রংধনুর মতো সুন্দর।

বর্ণিল পাপী আমি।

তোমার সাম্রাজ্যের আমি এক অতিরূপী কালো পিঁপড়ে।

ঝড়-তুফান শেষে যে ভুলে যায়,

তার বেঁচে যাওয়ায় তার কোনো কৃতিত্ব ছিলো না…

 

পাথর সংখ্যা

দুনিয়াবি চিন্তা যেন উকুনের মতো!

নিয়ত বংশবৃদ্ধি করে চলেছে।

খেয়ে ফেলছে তোমার সাথে স্বার্থহীন কথা বলার সময়গুলো।

আমি পাথরের মতো থেমে আছি।

আবার একই সাথে পাখির মতো দিকভ্রান্ত উড়ালও দিচ্ছি।

 

তোমার সাথে আমার কথা বলার সময় নেই ত্রাতা!

কথা বলার সময় হলেই আমি শুধু আয়না বায়নার কথাই খুঁজে পাই,

যা আমাকে শিখিয়ে পড়িয়ে দ্যায় ব্যবসায়ী উকুনেরা।

 

আমারে তুমি পাথর বানায়েই রাখো।

এবং আমাকে রহম করো শাস্তি দিয়ে!

আমার নতিজা দেখে যদি একজনও ঘর খুঁজে পায়

তাহলেও আমি বাঁচি।

 

আমাকে রহম করো ত্রাতা!

আমাকে শাস্তি দাও পরিপূর্ণ করে…

৩১৩

শেষে গিয়ে মানুষগুলো অসহায় ভালোবাসায় কেঁদে ফেলেছিলেন। যে সম্মানের জন্য এতোকিছু,

যে অহম, যে অহংকার টিকিয়ে রাখার জন্য এতোকিছু…  জানা গেলো জীবন দিয়ে নয়…

প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে জ্ঞান দিয়ে।

 

দশটি অজ্ঞপ্রাণ নিষ্পাপকে কলমের কান্ডারী বানিয়ে দিতে পারলেই মুক্ত হবেন তারা।

 

গুরু হতে হবে। হতে হবে ন্যায়ধীশ। তবেই হবে অন্যায়ের কাফফারা।

 

অলক্ষ্যে আজো হাসেন সেই ‘৩১৩’ জন কুলগৌরব।

তারা যুদ্ধেই নেমেছিলেন। অবশ্যই।

তবে পরাজিত করতে নয়।

জীবন দিয়ে সম্মান ফিরিয়ে দিতে।

 

প্রতিপক্ষের….

 

আরও পড়ুন- শাহিন চাষীর কবিতা