একগুচ্ছ কবিতা- অমিতরূপ চক্রবর্তী
আঙুলের শীর্ষে
আমার হাতে, আঙুলের শীর্ষে অন্ধকার। তোমার মুখ আর আমার মুখেও অন্ধকার। অন্ধকারে সুযোগ পেয়ে আমাদের গায়ে জোনাকি উড়ছে। হেমন্তের গাঢ় বিকেলে ফাঁকা স্টেশনের মতো আমাদের এই স্ব-উৎসারিত রাত। মিহি স্বরে বাতাস বইছে বাইরে। গাছপালায় পাতায় পাতায় শিরশিরে শব্দ। যদি কোথাও নির্জন রাস্তার ওপরে হলুদ পথবাতি ম্লান হয়ে জ্বলে আছে, সেখানে দেখা যাবে রাস্তার পিচ, জেব্রার মতো ডোরা কী অর্থবহভাবে স্পষ্ট। সেসব লক্ষ্য করার মতো কেউ নেই। কোথায় হয়তো আলো-আঁধারির জাফরির আড়ালে করতলে খৈনি নিয়ে এই পৃথিবীর, এই শাসনব্যবস্থার একজন রক্ষী বসে আছে। তার থেকে তার নিজের আত্মার থেকেও প্রিয় সংসার বহু বহু মাইল দূরে। আমরা এই হিমের তাত লাগা অন্ধকারে এ অন্যের অবস্থান টের পাই। টের পাই সেই ঠায় বসে থাকা রক্ষীর ভাবনা। এর বেশি আর কী করারই বা আমাদের? আঙুলের শীর্ষে জোনাকি জ্বলছে। আমার চোখের মধ্যে জোনাকি জ্বলছে, তোমার বুকের গহ্বরে, ঊরুর থামে জোনাকি জ্বলছে। অসমাপ্ত রয়ে গেছে এমন কোনো কাজ নেই আমাদের। যেখানে যা ফিরিয়ে দেবার কথা ছিল, যথাযথভাবে তা ফিরিয়ে দিয়েছি। বড়ো বড়ো সাদা সূর্যের মতো চিনেমাটির ডিশ, লম্বাটে পেয়ালা চারুগতির একটি তাকে কী শান্ত, কী শান্ত। অন্যান্য সময় এরা হিমশৈলের মতো হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে থাকে। এক সমুদ্র ঘোড়া এই ছেঁড়া-ফাটা চকমকির আকাশের নীচে হইহল্লা করে। দরজার তলা দিয়ে এক ঘরের রক্ত গড়িয়ে অন্য অন্য ঘরে চলে যায়
কত অপরূপ বাহুমূল পৃথিবীতে আছে। সেইসব বাহুমূল দেখে মনে হয়, বায়ুভূত হিমের পর্দা কেটে কোনো আকাশপ্রদীপ উড়ে যাচ্ছে। তোমার বাহুমূল ছুঁলে একটি কঙ্কাল হি হি করে হেসে ওঠে। হয়তো এ তোমার প্রার্থিত নয়, হয়তো এই শঠতায় তুমি অন্তরে বিদীর্ণ হও। তবু হয়, এরকম হয়। এই আকাশে মাথা তোলা ঘরবাড়ির জগতে, চিত্রার্পিতের মতো গাছের জগতে এমন হয়। দ্যাখো দূরে একটি গাছের মাথার কতগুলি পুঞ্জীভূত তারা। ওরা ওদের কলোনিতে থাকে। হয়তো সংসার করে। সন্তানের অবিভাবক হয়। এই যে আমাদের দুটি জাহাজের ভাঙা খোলের মতো সহাবস্থান, হতে পারে এমনই সমতুল্য কোনো অবস্থান তারাদের কলোনিতেও আছে। তারাদের কলোনিতেও এমনই দুজন হাতে মুখে দেহে অন্ধকার বিছিয়ে পাশাপাশি আছে। ওখানেও একটি নির্জন রাস্তার বাঁকে হলুদ পথবাতি ম্লান হয়ে জ্বলে আছে। আলো-আঁধারির জাফরির আড়ালে করতলে খৈনি নিয়ে এই পৃথিবীর, এই শাসনব্যবস্থার মতোই একজন রক্ষী বসে আছে। সময় বা দূরত্বের ধারণা, চেনা অচেনার ধারণা তো সেইসব মানুষের তৈরি, যারা দিনের আলোয় থুতনির কাছে পুরোনো ক্ষতের দাগ নিয়ে অসংখ্য কলমে কাজ করে। ঢাউস স্তনের মাংসে গিয়ে বিশ্রাম নেয়। দ্যাখো, দ্যাখো এই পৃথিবীর এই শাসনব্যবস্থার রক্ষীটি কী যেন আঁচ করে হলুদ পথবাতির নীচে জুতোর শব্দ তুলে এল। নাহ, কিছু নয়, একজোড়া কামার্ত কুকুর-দম্পতি। অন্ধকারে সহজ হতে না পেরে আলোর বৃত্তে এসে এ অন্যেকে ভালবাসছে, দুর্নিবার এক সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে
একটা বিষণ্ণ, মনখারাপের গন্ধ
শুকনো গু-গোবরের মধ্যে কেমন একটা বিষণ্ণ, মনখারাপের গন্ধ থাকে। এইমুহূর্তে আমার হাতের গরমে তোমার একটি হাত কী অন্যমনস্কতায় নড়ছে। দুরন্ত গতি বা সিংহের মতো বিক্রম নিয়ে আমরা কেউই আসিনি এখানে। খুব ফিনকি দিয়ে ওঠা রক্তের উৎসও আমাদের নেই। ফ্যাকাসে জ্যোৎস্নার মতো আমার সামান্য বীর্য আছে। তোমার আছে প্রকাণ্ড খোড়ল হয়ে যাওয়া এক যোনি। রোদের পীড়নে ঝুলে ঝুলে যাওয়া দুই হতদরিদ্র স্তন আর জীর্ণ এক ত্বকের মোড়ক। তবু কি কখনো পরস্পরকে কেউ ক্ষমা করি? নখরে নখরে ভৌতিক পায়ে পায়ে অসম এক ঠোকাঠুকি লাগে না? কে বিজয়ী হয়ে কার কণ্ঠমণি পিষে ধরি, সে অন্য কথা। কে কাকে সরিয়ে ফেলতে মনে মনে তপ্ত এক লৌহরাজের কল্পনা করি- সেও অন্য কিছু। তবুও কি শুকনো গু-গোবরের মতো অমন বিষণ্ণ, মনখারাপের মতো গন্ধনিঃস্রাবী আমরা? শুকনো গু-গোবর পড়ন্ত বেলায় কী করুণ! কী ভয়ংকর শ্রী-হীন তাদের জ্যোতি-হারানো আদল! কখনো তো পাথর বলেও ভুল হয়। ভীমকায় এক পশুর দেহ নিঃসৃত হয়ে হয়ে তারা পৃথিবীতে আসে। অনতিকাল পরেই শুকিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। পাথর হয়ে যায়
সে-সময় হয়তো কাতরাতে কাতরাতে আমাদের দিনগুলি যাচ্ছে। হাতে-পায়ে উজ্জ্বল সব ফল, বিষাক্ত পাতার অলংকার। তবুও তো ভাঙা দাঁত নিয়ে, চোখের অতলে কালসিটে নিয়ে আমরা একে অপরের মুখে এসে দাঁড়িয়েছি। এই যে আমরা বিশ্বাস করি, ব্যক্তিগত যুদ্ধের বহর তেমন বড়ো নয় কিম্বা এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়ে খর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকে না কেউ- এও তো বিস্ময়ের। রাতের শীতলে এসে প্লেট আর চা হাতে নিয়ে নিজের হিংসা নিজের মাংসে শুষে নিতে নিতে মনে হয়, শুকনো গু-গোবরেরা আসলেই খুব সমবেদনার! ভীমকায় যে পশুর দেহ নিঃসৃত হতে হতে তারা পৃথিবীতে আসে সেই পশু কখনো কি তাদের স্ব-উৎসারিত ভাবে? হালকা ভোরের মতো গা শীত শীত করা আমাদের যে নিকট অতীত বা গালে কালির দাগ নিয়ে আমাদের যে অদূর ভবিষ্যৎ- তেমন অমূল্য শ্বেত কি তাদের আছে? এই যে আমাদের পায়ে পা লেগে ঠং করে শব্দ ওঠে বা শুষ্ক পাঁজরের মণিমালিকায় লেগে রহস্যময় নূপুরের ফোঁটা ফোঁটা জমে -তারা জানে এসব? কবে দুর্গের এক সৈনিক বলল ‘কোথাও হয়তো ইঁদুর পচেছে!’ শুকনো গু-গোবর তাতে আরো বিষণ্ণ হয়ে, গুমোট হয়ে গুটিয়ে রইল
ধর্ম
আজ আমরা ঝাঁক বেঁধে এই জলে আছি। কাল আমরা ঝাঁক বেঁধে ওই জলে থাকব। এ ব্যাপারে আমার প্রভুত্ব করবে তুমি। রোদে মেহেদি রঙের চুল উড়িয়ে, দুরন্ত আঁচল সামলাতে সামলাতে আমার প্রভুত্ব করবে তুমি। আমার শিশুদের মতো দু- একটা প্রশ্নে তুমি এ-কালের মতো ফর্সা আঙুলে আবার তোমার চোখেমুখে এসে ঝাঁপিয়ে পড়া মেহেদি রঙের চুল সরিয়ে বলবে ‘কী অবুঝের মতো কথা বল বল তো? দেখলে তো অ্যাতোদিন। কী পেলাম বল? শুকনো কয়েকটি রুটি আর ট্যালটেলে ডাল। শোনো, সময়ে বনবাদাড়ে আটকে পড়া জামা পারলে টেনে ছিঁড়ে আনতে হবে। সময়ে তাই করতে হবে, অন্যেরা যা করছে তাই। আজ এই জলে আছি, দেখে নিই আরও কয়েকটি দিন। তারপর ওই জলে যাব, দরকারে লাফিয়ে পড়ব।‘ তুমি কী আত্মবিশ্বাসে এই কথাগুলি বল। তখন তোমার আয়ত গভীর চোখদুটি থাকে রাস্তার ওপারে, দূরে। সেখানে দিগন্তের ধোঁয়া ধোঁয়া। ডুবে যাবার জন্যেই হয়তো আকাশে কয়েকটি পাখি ভেসে আছে। রুক্ষ মাঠের গায়ে ভাঁজ ভাঙা শাড়ির মতো আভা। তুমি কী সুন্দরভাবে মেপে নিতে পার সব। কী অদ্ভুতভাবে বুঝে যাও আসন্ন ক্ষুধা কোথায় কীভাবে গেলে মিটে যাবে। কার দৃষ্টির সামনে ঈষৎ দেখাতে হবে স্তন, কার গায়ে দুর্ঘটনার মতো একটু ছোঁয়া দিয়ে আসলে একটা চিরকুট ফেলে আসতে হবে। তোমার এই দৈবক্ষমতার জন্যেই তুমি আমার প্রভু। তোমার হাত ধরে আমি তাই শান্ত, নিরুদ্বিগ্ন থাকি
তবে কিছু কথা চুনোমাছের মতো আমার হৃদয়ে কখনো ভেসে ওঠে। আত্মার কাছাকাছি কোনো একটা জায়গা থেকে ভেজা ভেজা ধূম ওঠে টের পাই। তবে আমি তেমন আমাকে তো বিশ্বাস করি না। তাই সেসবকে বিভ্রম ভেবে দূরে সরিয়ে রাখি। তোমার চোখ দিয়ে দেখি, আহা পৃথিবী কী সুবিশাল! কত সম্ভাবনা, কত খাদ্য, কত চাঁদে যাবার সুদৃশ্য সিঁড়ি তাতে! কত তপ্ত জল, তাতে গোলাপের পাপড়ি ফেলা। সে জলে আহা একবার যদি গলা অবধি নেমে যেতে পারি আমার কত যে পরগাছা সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে। উঠে এসে হয়তো দেখব আমি ঝকঝকে এক নতুন মানুষ। ছিলা-করা পেতলের মতো আমার শরীর। তোমার চোখ দিয়ে দেখলে মনে হয়, এ যাবৎকাল আমি বিশ্বাসে, চিন্তায় শুধুমাত্র একটা ঘেয়ো কুকুরকে পুষে রেখেছি। অকারণে কাগজে মুড়ে রেখেছি লাল নীল সামুদ্রিক পাথর, যার কোনো মূল্যই নেই। তুমি না থাকলে এই জগতদর্শন আমার কখনোই হত না। তুমি না থাকলে আজ অবধি আমি সেই জলকাদা, রেডিও আর ম্যালেরিয়ার যুগে পড়ে থাকতাম। বিশ্বাস করতাম ঈশ্বর পাখির রূপ ধরে মানুষের কাছাকাছি কোনো গাছেই থাকেন। বিশ্বাস করতাম দলবেঁধে ছুটলে হয়তো উজ্জ্বল তারাটির কাছে পৌঁছানো যায়। বিশ্বাস করতাম আমার ভেতরে সত্যিই আমার একটা ভারী পায়ার সিংহাসন আছে। তবে এখন আমি নিঃশঙ্ক। আমি জানি আমার ধর্ম শুধু তোমার হাতটি ধরে থাকা। নিজেকে তোমার ছায়া করে দেওয়া
শুধুমাত্র নিজেকে তোমার ছায়া করে দেওয়া
হিংস্র কাঙালের মতো, বুভুক্ষের মতো
আমার নোনতা চোখের জল তোমার আঙুলে, গালে, চুলের গোছায় মাখিয়ে ভালবাসব। আমার নোনতা চোখের জলের কয়েকটি ফোঁটা বসিয়ে দেব তোমার ঠোঁটে, তুমি শুষে নিও, দেখবে মুছে-যাওয়া খিদে আবার কীভাবে যেন ফিরে এসেছে। থাক, খিদের জন্য অন্যদিন আছে, নির্জন বহু মুহূর্ত আছে, তোমাকে অনুসরণকারী অসংখ্য গুনগুন আছে, হঠাৎ উপছে আসা হাসি আছে। আজ শুধু ঠা ঠা গরমের মতো ভালবাসা হোক। কোথাও যেতে হবে না, কোনো পর্দার ঝুল নামাতে হবে না, ফুল ফুল পোশাক পরে সহজ হয়ে আসারও দরকার নেই। এই এভাবেই বসে, নিজেকে চড়াই-উৎরাইয়ে ভেঙে ভালবাসা হোক। আমার চোখের নোনতা জল তোমার গালে মাখিয়ে দিতে দিতে আমি ভাবব, জীবন এখনো কিছুটা নির্বোধ। সবকিছুরই যে মাথায় সে বিজয়ীর মতো হান্টিং শ্যু পরা পা রেখে নিজেকে ঘোষণা করেছে- এমনও নয়। কিছু তো আছে, যে রহস্য এখনো রহস্য। কিছু তো আছে, যার শেষপ্রান্ত এখনো গাঢ় অন্ধকারে। কিছু এমনও স্থাপত্য আছে, যার বয়েস এখনো এখনো অজ্ঞাত। উঁহু, শুয়ে পোড়ো না, নিজে থেকে কোনো আবরণ তোমার সরিয়ে ফেলার দরকার নেই, স্তন থেকে রুপোলি বর্মও খোলার দরকার নেই অথবা হাতড়ে হাতড়ে খুলে ছুড়ে ফেলার দরকার নেই জেব্রার ছাপ-দেওয়া প্যান্টি। আগে হোক ভালবাসা, হ্যাঁ, এভাবেই অসম আকৃতির চেয়ারে বা বেতের মোড়ায় বসে। ধাক্কা লেগে পুরোনো পেতলের ফুলদানি হয়তো গড়িয়ে যাবে, যাক। কোথাও আঘাত পেয়ে হয়তো কনুই বা হাঁটু ছড়ে যাবে, যাক। তবু, ভালবাসাই হোক আগে। আমার নোনতা চোখের জলে তুমি ভিজে, চুপসে অ্যাকসা হয়ে গিয়ে দ্যাখো
কতদিন পর বলো, এমন লুকিয়ে-চুরিয়ে সাক্ষাৎ। কতদিন পরে বলো, আজ এই সিঁড়ি পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ধরা আকাশের কাছাকাছি প্রায় অথর্ব টংঘরটি খালি। কতদিন পরে দ্যাখো, পথবাতিগুলির কিছু কিছু না জ্বলে পৃথিবীকে খানিকটা ভৌতিক করেছে। কতদিন পর দ্যাখো, হিংস্র কুকুরেরা কী একটা কারণে পাশের গলিতে। হয়তো ভোজসভা, হয়তো এলাকা দখলের বিষয়। আকাশে বিন্দু বিন্দু নক্ষত্র, দূরে একটি বাড়ির জানালায় শীর্ণ শীর্ণ কয়েকটি গাছের ছোপ। ভেবে দ্যাখো, এখানেই জীবনের দিগ্বিজয়ী ধ্ধজা, তার পরাক্রম কেমন ঠোকা খেয়েছে! তোমার চুলগুলি এখন আমার আঙুলে নামিয়ে দাও, তোমার মস্তিষ্ক থেকে সব রঙ করা মুখোসের চাউনি, রক্তস্রাব আর পেচ্ছাপের গন্ধ সরিয়ে আমার দুই হাতের মধ্যে সঁপে দাও থমথমে চাঁদের মতো মুখটি। আমার নোনতা চোখের জল আমি আঙুলে নিয়ে তোমার ভুরু, নাকের টিলা নতুন করে এঁকে দেব। এঁকে দেব গালের সীমা, মেঠোপথ, ছোট্ট বল্লরীর মতো কানের লতি। অজস্র চুলের গতি, চিবুকের খাঁজ, গলার রক্তিম কণ্ঠমণি- সব এঁকে দেব। ঊৎকর্ণ হবার কোনো কারণ নেই, দ্যাখো কান পাতলে মনে হবে চতুর্দিকে শুধু তাজা কবরের শীত, তাজা কবরের ঘ্রাণ। তোমার ঠোঁটে এবার আমি আমার চোখের নোনতা জলের কয়েকটুকরো রাখব, তুমি শুষে নাও, শুষে নিতে গিয়ে আমার আঙুলগুলিও শুষে নাও। এভাবেই তো বোঝা যায় ভালবাসা কতখানি, আর্তি কতখানি! না, শুয়ে পোড়ো না, আগেভাগেই কিছু উন্মুক্ত করে দেওয়ার নেই আমাকে। শুধু চুপ করে বসে থাক, আনত কিশোরীর মতো বসে থাক, যতক্ষণ আমি তোমাকে হিংস্র কাঙালের মতো, বুভুক্ষের মতো ভালবাসছি
*আলিপুরদুয়ার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
আরও পড়ুন- একগুচ্ছ সুফি কবিতা