একগুচ্ছ কবিতা- নোমান শায়েরী
অবিশ্বাসের শহর
মানুষের মাঝে হতে বিশ্বাস উঠেছে,
জায়গাটা হৃদয়ের সন্দেহ নিয়েছে।
মন করে উড়ু উড়ু এই বুঝি হায়,
ওই লোকে পাশে বসে আমাকে ঠকায়।
রক্তের বাঁধনটাও তুচ্ছ যেন আজ,
তারাও তো ঠকানোর মতলব বাজ।
নাড়ির বন্ধনে হেথা দেখেছি সংশয়,
বিশ্বাস করতে তারা পায় খুব ভয়।
অবিশ্বাসের শহরে করি বসবাস,
সকলে ব্যাকুল নিয়ে নিজের আবাস।
মানবতাহীন এক যান্ত্রিক শহর,
নিজ কাজ করে সবে দিবস প্রহর।
রবের বারাকা নেই এমন শহরে,
মানুষের মন ঢেকে রয়েছে মহরে।
আধুনিক কৃতদাস
টাকা নিয়ে নিজেদের নৈতিকতা বেচে,
ওরা হয় নীচুজাত ক্রীতদাস হেসে।
ন্যায় কিবা অন্যায় বুঝে না তো ওরা,
ওরা শুধু বুঝে এটা টাকা দিল কারা।
টাকাদাতা মালিকের ওরা দাস হয়,
আধুনিক ক্রীতদাস ওরা কবি কয়।
টাকাদাতা মালিকের শুনে ওরা কথা,
অনায়াসে কেটে আনে যে কারোর মাথা।
মালিকের কথা মতো পথরোধ করে,
নির্দোষ মানুষেরে মিছে রাখে ধরে।
হাতে যাহা পায় তাহা কেড়ে ছিঁড়ে নেয়,
ক্রীতদাস মালিকের হাতে তুলে দেয়।
লোকে বলে ওদেরকে ভাড়াটিয়া খুনি,
ভাড়াটিয়া নয় শুধু ক্রীতদাস জানি।
আমৃত্যু লড়াই
আজন্ম সৈনিক আমি সাচ্চা মুসলমান,
ইমানের তেজে লড়ি সর্বদা সমান।
এক চুলও নড়ি না বাতিলের ভয়ে,
দেই না কখনো আমি মাথাখানি নুয়ে।
হুমকি ধামকি যত আসতে থাকুক,
মিছে মামলার লিস্ট বাড়তে থাকুক।
ভাড়াটিয়া বাহিনীর বিশাল বহর,
আমার মনকে করে আরো যে কঠোর।
আজন্ম সৈনিক আমি করিনা বড়াই,
করব ন্যায়ের পথে আমৃত্যু লড়াই।
মিথ্যার হুংকারে আমি কভু নাহি ডরে,
বাতিলের দর্প যাই চুরমার করে।
আমৃত্যু করতে থাকা এই লড়াইয়ে,
মুনাফিক সব লোক দেবোই তাড়িয়ে।
মুমিন সমাজে রবে রবের বিধান,
চলবে না হেথা কারো অন্যায় ফরমান।
আমৃত্যু লড়াইয়েতে মুমিন সমাজে,
থাকবে না মুনাফিক লোক আজেবাজে।
আরো পড়ুন- পরমপাঠ