নোমান শায়েরীর কবিতা
কে বেশি কসাই
হাজিরা হাসপাতালে, চেম্বারে বসে
রোগী দেখে ডাক্তার, নির্ধারিত ফিস তার।
আরও বেশি পেতে কিছু
হয়তোবা আজগুবি নানা টেস্ট করায়।
তবে সদা চেষ্টা মানুষকে বাঁচাবার।
জেনে-বুঝে মারে না মানুষ।
ডাক্তার;কলঙ্ক আছে তার “কসাই”।
আদালতে, সত্যের গলাচিপে ধরে
জেনেশুনে মিথ্যার হয়ে লড়ে
আইনজীবী; বাধাহীন ফিস তার।
আইনজীবী-ডাক্তার কে বেশী “কসাই”?
আদালতে
আদালতে ছুটোছুটি কত মানুষের,
কেউ বড়ো অপরাধী,কেউ ছোটে বোঝা নিয়ে মিছে কসুরের।
পাকাবাড়ি বেচে কেউ ঢালে সেথা টাকা,
সেথা বসে কেউ তার বাড়ি করে পাকা।
কালোকোট পরা ওরা বাধাহীন ফিস নেয়,
কত শত মানুষকে বিপন্ন করে দেয়।
জেনেশুনে সত্যের গলাটিপে ধরে,
মিথ্যেকে জয় দিতে ওরা যায় লড়ে।
তবে কিছু আছে ভালো কালোকোট পরা,
সত্যকে টেনে আনে,মিথ্যাকে খেয়ে দেয় ধরা।
আদালতে সবচেয়ে বড় অন্যায়,
মামলায় কত কত যুগ চলে যায়!
চাওয়া পাওয়ার পথ
জীবনটা হতো যদি এমন
যেথা খুশি সেথা যাব থাকবে না বারণ কোন কারো।
যা খুশি করব তা পরাবে না এসে কেউ আইনের হাতকড়া।
যা খেতে চায় মন তাই খেয়ে নিতাম সদা তখনই
তবে তাতে আসবে না কোন রোগবালাই।
অভাবের তাড়না এসে বাধ সাধবে না ইচ্ছের পূরণে।
এই তো চাওয়া মানুষের?
এই চাওয়া হবে পূরণ।হওয়া সম্ভব।
জীবনের তিন ধাপ
একধাপ কেটে গেছে আত্মারূপে
একধাপ কেটে যায় আত্মা ও দেহের সমন্বয়ে;
চাওয়াটা পাওয়ার পথ পেরিয়ে।
এই পথ সেই চাওয়া পূরণের পথ।
বন্ধুর এই পথ পার হতে পার যদি
নানা নিয়মনীতির শৃঙ্খল মেনে।
পৃথিবী নামক এই সেই চাওয়া পূরণের পথ শেষে
পেয়ে যাবে তেমন জীবন জান্নাতে।
আরও পড়ুন- এনামূল হক পলাশের সুফি কবিতা