পদাবলিপ্রচ্ছদ

মাহদী মল্লিকের অণুকবিতা

১.

নাটাইয়ে যতো বার টান দিয়েছি,

তুমি ততো বারই সরে গেছো দূরে।

 

২.

মনের অসুখ বলতে কেবল বুঝি-

তুমি আমারে ভালোবাসো না।

 

৩.

তুমি আমার হইয়া গেলে-

মনে হইতো আমারও দোয়া কবুল হয়।

 

৪.

দাঁত দিয়ে গিট খুলে দেখি,

দড়ি ও স্বাধীনতা লাভ করে!

 

৫.

তুমি আমারে ছাইড়া গেলে-

আমার আর অবশিষ্ট থাকে না কিছুই!

 

৬.

চোখের জল যেন কেরোসিন; বুকে এসে

পড়লেই আগুন জ্বলে ওঠে।

 

৭.

তোমায় ভালোবেসে হয়েছি দেউলিয়া;

অথচ তুমি বললে আমার কিছু নেই।

 

৮.

তুমি হাতে তালি বাজালে-

নিজেকে মনে হয় জালালি কবুতর।

 

৯.

তোমার ওই চোখ যেন

নিউটনের তৃতীয় সূত্র।

 

১০.

তোমারে হারায়ে ফেলেছি; এই কথা

বিশ্বাস করে না, আমার বেহায়া হৃদয়।

 

১১.

তোমার চোখের নজর

আমার প্রেমের মাতৃভাষা।

 

১২.

প্রেমের বেদনা যেন

রাতে ফোঁটা রজনীগন্ধা ফুলের ঘ্রাণ—

 

১৩.

চারাগাছের মতো একটু একটু পানি দিচ্ছি হৃদয়ে

যাতে বেড়ে উঠতে পারে প্রেম!

 

১৪.

তুমি যেমন করে বুকে টেনে নাও ওড়না-

তেমনি ভাবে একদিন আমাকেও টেনে নিও হৃদয়ে।

 

১৫.

তুমি ধাক্কা দিবে বলেই-

আমি দেয়াল হয়ে আছি।

 

১৬.

সারা বুকে যখন লেগে থাকে অন্ধকার,

তখন হৃদয়কে মনে হয় দিয়াশলাই কাঠি।

 

১৭.

বেদনা দিতে এমন পারদর্শী তুমি,

আমি কেবল হয়ে যাই ক্ষতস্থান।

 

১৮.

ধানের চিটা চেপে দেখি,

ভিতরে হৃদয়হীন!

 

১৯.

গাছের যে ডালে ফাঁস নেব ভেবেছিলাম; সেই ডালে

একটি পাখির বাসা দেখে ঘরে ফিরে এসেছি।

 

২০.

জুতা হয়েও দেখেছি, ক্ষয় হবার চেয়েও

বেশি আনন্দ লাগে তোমার স্পর্শে।

 

 

আরো পড়ুন- সুশান্ত হালদারের কবিতা