মাহদী মল্লিকের কবিতা
সংকটের মুহূর্তে
দুপুরটা সংকীর্ণ হবে
এরপর ছোট হতে হতে
হয়ে যাবে ছোট কবিতা—
তবু ও পড়বে না তুমি
বলবে বুঝতে পারো না
উপমেয় কিংবা অনুপ্রাস;
এরপর অপরাহ্ন কেটে যাবে
সন্ধ্যার পানশালায়
খুলে বসবে একটি
হারিকেন মুখয়ব
তুমি জ্বলতে থাকবে আর
আমি পুড়তে থাকবো।
আকাশ যখন মাটিতে নেমে আসে
পাখি হবার জন্য আমার
প্রথম পছন্দ ছিল ঘুড়ি হওয়া
এরপর কাকতাড়ুয়া…
অথচ ভুলেই গিয়েছি যে
মানুষ ও একটি পাখি জীবন;
যে মাটির আকাশে, ছায়া হয়ে উড়ছে।
মেগাবাইট
স্ক্রিনশট হয়ে আছে তার
আড়াল হওয়ার সিন
তবুও যেন
লেন্সে ক্লিক করলেই
কপি পেস্ট হয়ে যায়
পুনরায় দুঃখে, সিনের ছবি
এরপর যত সংলাপই পড়ি
মনে হয় তুমি
এড়িয়ে যেতে চাও
এই স্টারলিংক ইন্টারনেট হৃদয়।
একটি জীবনই একটি রাষ্ট্র
একটি বক ঠোঁটে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটি রাষ্ট্রকে। আব্বাকে এ কথা বলার পর, তিনি আম্মাকে বললেন, তোমার পুত্র যেন হয়ে উঠেছে ‘সারসের দার্শনিক।’
এই বলে অট্টহাসিতে মাতিয়ে রাখলেন ভরদুপুর বারান্দার খাবারের টেবিল। আব্বা হাসছেন আর একটি একটি করে ভাতের লোকমা মুখে তুলে নিচ্ছেন।
সেই মুহূর্তে, আমি আব্বার পাশে গিয়ে বসি এবং বলি, অাব্বা, আপনিও সারস হতে শিখেছেন খুব। এই যে দেখুন আপনিও বকের মতন হাঁ করে গিলে ফেলছেন— এক প্লেট রাষ্ট্রকে।
গা’যার ব্যর্থতায়
যেহেতু
পকেটে একটা জাতিসংঘ আছে
ভাবলাম বুক নিরাপদ;
আমার নিকটস্থ এক বন্ধুকে বললাম—
গু—লি করতে, বন্ধু, গু—লি করলো—
আমার বুকের কিছুই হয়নি
শুধু জাতিসংঘ ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন- এনামূল হক পলাশের কবিতা