কথাসাহিত্যপ্রচ্ছদ

রয়্যালটি- পলাশ মজুমদার- গল্প

আমি লেখকদের রয়্যালটি যথাযথভাবে বুঝিয়ে দিই।

মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে জনৈক বাগ্মী প্রকাশক অনেক কথার সঙ্গে জোর দিয়ে উক্তিটি করলেন তুমুল জনপ্রিয় এক লেখকের একটি নতুন বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে।

সঙ্গে সঙ্গে করতালিতে মুখর হয়ে উঠল পুরো হলরুম। সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল এই বলে যে, প্রকাশনাশিল্পের এই দুর্দিনে এমন সৎ প্রকাশক সত্যি বিরল। যেমন ব্যক্তিত্ব, তেমন তার শিল্পবোধ। লোকসান হবে জেনেও তিনি গুণমানসম্পন্ন বই ছাপেন। লেখকের সঙ্গে কাগজে-কলমে পাক্কা চুক্তি করে তার পাওনা বুঝিয়ে দেন কড়ায়-গণ্ডায়।

অনেকে বলছেন, দেশের প্রকাশনাশিল্প এখনো টিকে আছে এমন প্রকাশকদের বদান্যতায়; আর নিজস্ব পেশার পাশাপাশি লেখকরা পাচ্ছেন বাড়তি আয়ের সুযোগ; তাদের উদ্যমের ওপর ভর দিয়ে কেউ কেউ লেখালেখিকে নিচ্ছেন পেশা হিসেবে। একেই বলে শিল্পসাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক।

অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক অসীম সুবর্ণও এসেছেন। যদিও তার থাকা না-থাকায় কারও কিছু যাচ্ছে আসছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। কারণ, কোনার দিকে একটা চেয়ারে অসীম বসেছিলেন প্রায় মুখ লুকিয়ে। আমন্ত্রিত অতিথি না হলেও তিনি সেখানে গিয়েছেন অনুরোধে ঢেঁকি গিলে। হয়তো যেতেন না, যদি তার দীর্ঘদিনের বন্ধু কবি শুভ্র মোহন তাকে যেতে না বলতেন। শুভ্র এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।

প্রকাশকের কথা শুনে উপস্থিত শ্রোতাবৃন্দ আহ্লাদিত হলেও অসীম হাততালি দেননি; বরং তার মুখ কিঞ্চিৎ কুঁচকে ওঠে। পাশে বসে থাকা এক ব্যক্তি অসীমের দিকে এমনভাবে বিষ্ফারিত চোখে তাকান যেন চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে এসেছে কোনো নির্বোধ প্রাণী!

প্রকৃতপক্ষে প্রকাশকের কথা শুনে অনভিপ্রেত পরিস্থিতির কথা ভেবেই মূলত প্রচারবিমুখ অসীম নিজেকে সংযত রেখেছিলেন। সংযত থাকার গুণটি তার স্বভাবজাত। কারও আচরণে ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হলেও মুখে কখনো তিনি প্রকাশ করেন না।

চাপা স্বভাবের এই বিশেষ গুণ তার প্রয়াত বাবারও ছিল, যা নিয়ে মা প্রায়ই অভিযোগ করতেন। বাবা মুচকি মুচকি হাসতেন, কিছু বলতেন না। শোণিতধারার মতো হয়তো অসীম অভ্যাসটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। অবশ্য এ জন্য তার কোনো অনুতাপ কখনো ছিল না। অনেকে এটাকে তার শিষ্টাচার ধরে নিয়ে তুমুল প্রশংসাও করে। আবার কেউ কেউ এর সুযোগ নিতেও দ্বিধা করে না।

অসীম দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। ঠিক কখন থেকে তা আজ আর মনে পড়ে না। স্কুল-কলেজের ম্যাগাজিনে লিখেছেন। লিখে লিখে খামে ভরে তখন থেকে দৈনিক পত্রিকার ঠিকানায়ও পাঠিয়েছেন। ছোটদের পাতায়ও তার লেখা গল্প কবিতা ছাপা হয়েছে।

তখন অবশ্য মূল নামেই লিখতেন। সেই নাম ঠিক লেখকসুলভ নয় বলে পরবর্তী সময়ে এক লেখক-বন্ধুর পরামর্শে তিনি নাম পরিবর্তন করেন। বন্ধুটি তাকে বলেছিল লেখকদের নাম কাব্যিক হওয়া ভালো।

ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখে তিনি অন্যরকম এক আনন্দে আচ্ছন্ন থাকতেন। হয়তো এই আনন্দটুকু ছিল তার লেখার প্রেরণা। নিজের নাম কে না ভালোবাসে! সৌন্দর্যপিয়াসী অসীমের কাছে আত্মপ্রেম অনেকের চেয়ে একটু বেশিই বলা যায়। শামুকের মতো নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা তার আজন্মলালিত গুণ। তারপর আকাশসম স্বপ্নে বিভোর হয়ে লেখালেখির সঙ্গে কেবলই অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে যাওয়া।

ডাকনাম সুবর্ণর সঙ্গে মিলিয়ে বাংলার অসীম সাহিত্যাকাশে নিজেকে আত্মনিবেদনের প্রত্যয়ে বাইশ বছর বয়সে তিনি এই নাম ধারণ করে অল্প সময়ে নামের মাহাত্ম্য প্রমাণ করেন।

লেখা ছাড়া যে তার দ্বারা অন্য কাজ সম্ভব নয়, তা তিনি ভালো করে জানেন। চাকরিটা করছেন নিতান্তই পেটের তাগিদে; লেখালেখির মাধ্যমে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা তো এই দেশে অলীক কল্পনা। কখনো মনে হয়, এই যে লিখতে পারছেন, তার দ্বারা লেখা হয়, এই লেখনীই বাঁচিয়ে রেখেছে তাকে। তাছাড়া তার বেঁচে থাকার অন্য কোনো উপলক্ষ নেই। অবলম্বনও নেই। যেদিন লেখা ছেড়ে দেবেন, সেদিন তাকে জীবনের ইতি টানতে হবে; জড় পদার্থের মতো টিকে থাকার কোনো মানে হয় না।

না লিখতে পারলে অসীমের কিছুই ভালো লাগে না; যেন যা করার ছিল তা করা হচ্ছে না কিংবা করতে পারছেন না; শূন্যতা ঘিরে রাখে চারপাশ। যেদিন মোটামুটি দুই ঘণ্টা লিখতে পারেন, সে দিনটিকে তার বেশ অর্থপূর্ণ মনে হয়। ভেতরে যে হাহাকার ও বিপন্নতাবোধ, তা লিখতে পারলেই কেবল কেটে যায়। যেদিন লিখতে পারেন না, সেদিন অন্তত তার তালিকায় থাকা কোনো বইয়ের অংশবিশেষ হলেও পড়তে হয়। বাসায় কোনো সমস্যা থাকলে বাইরে বসে হলেও তিনি পড়ার কাজটা সেরে নেন। পড়াকে তিনি লেখার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন।

অসীম সুবর্ণের বইয়ের কাটতিও নেহাত মন্দ নয়। প্রথম প্রথম তার বই তেমন বিক্রি না হলেও গত কয়েক বছর ধরে ভালোই চলছে। দৈনিক পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকরা গল্প চান। প্রতিবছর ঈদসংখ্যাগুলোতে তার লেখা যত্নসহকারে প্রকাশিত হয়। কোনো সাহিত্য পুরস্কার না পেলেও তার আফসোস নেই। পুরস্কার হয়তো জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারে; কিন্তু তিনি জনপ্রিয় লেখক কখনো হতে চাননি।

তার বদ্ধমূল ধারণা, জনপ্রিয়তা একজন লেখকের জন্য ক্ষতিকর। কারণ তা যে চাপ সৃষ্টি করে, তা লেখকের স্বাভাবিকতা নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। একবার কোনো লেখককে জনপ্রিয়তার নেশা পেয়ে বসলে তিনি আর মৌলিক লেখা লিখতে পারেন না। আবার তার পাঠক সংখ্যা বাড়ুক, এমন বাসনাও গোপনে লালন করেন তিনি। কখনো এমন চারিত্রিক বৈপরীত্য নিয়ে তিনি আত্মদ্বন্দ্বেও ভোগেন।

উভয়সংকটে পড়ে কখনো কখনো তার নিজেকে স্ববিরোধী মনে হয়; ব্যক্তিত্বের দ্বৈতসত্তার কারণে তখন অপরাধবোধও কাজ করে। আবার তা উৎরানোর উপায়ও তার জানা নেই।

চাওয়া-পাওয়ার এই টানাপোড়েনের মধ্যেও অসীমের একটা গোপন দুঃখ আছে, যা তিনি ঘুণাক্ষরেও কারও কাছে প্রকাশ করেননি, পাছে তার ব্যক্তিত্বহীনতা প্রকাশ পেয়ে যায়। স্ত্রী সুরভি এ নিয়ে মাঝেমধ্যে খোঁচা মারলে শুধু সেই দুঃখবোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে; তবে সুরভিকে কোনোভাবে কথা দিয়ে তিনি আঘাত করেন না। অবশ্যম্ভাবী পরিণতির কথা ভেবে তিনি তা মুহূর্তে ধুর ছাই বলে উড়িয়ে দেন।

এত এত লেখক বইয়ের রয়্যালটি পান, অথচ তিনি কখনো পাননি। পত্রিকা অফিস থেকেও শুনেছেন লেখকেরা সম্মানী পান; অথচ কই তাকে কোনো প্রকাশক কিংবা সম্পাদক আজ পর্যন্ত টাকাপয়সা দেননি। চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে অবশ্য তিনি লেখার প্রতিদান চানওনি।

প্রথম বইটি ছাড়া প্রকাশক তার কাছ থেকে সব সময় পাণ্ডুলিপি চেয়ে নিয়েছেন। ভালো না লিখলে কি পাণ্ডুলিপি চেয়ে নিত! এজন্য মনে মনে তার গর্ববোধ ঠিকই আছে। তিনি হ্যাংলা নন। নিজেকে কারও কাছে কখনো হালকা করেননি। এটাই তার প্রাপ্তি।

তার যে টাকার অভাব কিংবা টাকার জন্য লেখেন, তা-ও না। তবু বিষয়টি কিছুদিন ধরে অসীমের বুকের মধ্যে কাঁটার মতো বিঁধছে। অবশ্য এটাও হতো না যদি তিনি কয়েকজন লেখকের রয়্যালটি-সংক্রান্ত স্ট্যাটাস ফেসবুকে না দেখতেন। যারা পোস্টগুলো দিয়েছেন তাদের কয়েকজন বয়সে তরুণ এবং লেখালেখির জগতেও বিচরণ বেশিদিন আগে নয়।

আসলে রয়্যালটির প্রসঙ্গ লজ্জার কারণে তিনি কখনো প্রকাশকের কাছে সরাসরি প্রকাশ করেননি; না করার সংগত কারণও ছিল। কারণ তিনি কোনো প্রকাশকের সঙ্গে কখনো চুক্তিবব্ধ হননি; তারাও তার কাছে কৌশলে ব্যাপারটি এড়িয়ে গেছেন।

তবে রয়্যালটি পেয়েছেন এমন কয়েকজন বন্ধুস্থানীয় লেখকের কাছে তিনি তার হতাশা ও ক্ষোভের কথা কানে কানে বলেছেন। তিনি নিশ্চিত যে এটা প্রকাশকের কান অবধি গিয়েছে। কিন্তু প্রকাশকের আচরণে তিনি তা কখনো বুঝতে পারেননি। সাহস করে একবার শুধু মেসেঞ্জারে বিষয়টি এই প্রকাশককে জানিয়েছেন; অথচ প্রকাশক খুদে বার্তাটি সিন পর্যন্ত করেননি।

সে জন্যই অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসে হঠাৎ প্রকাশকের রয়্যালটি-সংক্রান্ত উক্তিটি তার কানে যেন শেলের মতো বিঁধে। এত বিস্মিত জীবনে তিনি খুব একটা হননি। মনের মধ্যে টের পান একধরনের অস্থিরতা। উত্তেজনাও বোধ করেন শরীরে। দ্রুত সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তচাপ যেন অতিক্রম করে সর্বোচ্চ সীমা।

হঠাৎ শান্তশিষ্ট অসীম কী ভেবে স্বভাববিরুদ্ধ কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তার দ্বিতীয় সত্তা তাকে থামাতে চায়। অথচ কে যেন তাকে প্রতিবাদী হতে প্ররোচিত করে।

একপর্যায়ে অসীম নিজেকে আর সংবরণ করতে পারেন না। লাল হয়ে ওঠে চোখ, কান গরম হয়ে যায়। ডানে বাঁয়ে একবার তাকিয়ে তৎক্ষণাৎ সটান দাঁড়িয়ে পড়লেন। সরাসরি বললেন, আমিও আপনাকে আজ আপনার রয়্যালটি বুঝিয়ে দিতে চাই, সম্মানিত প্রকাশক।

অসীমের কথায় প্রকাশক সাহেব যেন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। অসীম সুবর্ণকে তিনি ভালোভাবেই চেনেন। বেশ ভদ্র আর মিচকা স্বভাবের গোবেচারা। এর তো হঠাৎ এভাবে দাঁড়িয়ে পড়ার কথা না। আর রয়্যালটি বলতেই কি বোঝাচ্ছে সে!

ওইদিকে রাগ অথবা অন্যরকম এক উত্তেজনায় অসীম তখন কাঁপছেন। বেশ ধরা গলাতেই অসীম বললেন, লেখকের মতো প্রকাশককেও তার রয়্যালটি বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ বই তো শুধু একটা বই না, এর মেধা-স্বত্ব যেমন লেখকের, তেমনি ব্যবসা-স্বত্বও লেখকের। তা লেখক তো সর্বোচ্চ মেধা ঢেলে আপনাকে ব্যবসার জন্য পণ্যটি বুঝিয়ে দিলেন। আপনি ক’জন লেখককে তার পরিশ্রমের দাম দিয়েছেন?

প্রকাশক খানিকটা রেগেই বললেন, সবাইকে দিয়েছি। কোন লেখক বলতে পারবে না, আমি তার রয়্যালটি দেইনি। অবশ্য যার বই একশ পনেরো কপি বিক্রি হয় তার কথা আলাদা।

অসীমের কণ্ঠ কর্কশ শোনায় অবশ্যই তার কথা আলাদা। কিন্তু তারও তো সেই দশ কপি বইয়ের রয়্যালটি পাওয়া উচিত। নিয়ম অনুযায়ী তার সঙ্গে চুক্তি করেই আপনার পাণ্ডুলিপি ছাপার কথা। যাকগে, আমি কিন্তু অনেককে চিনি, যাদের বই আপনার প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে, অথচ তারা এক টাকাও রয়্যালটি কখনো পাননি।

অসীমের রুদ্রমূর্তি দেখে প্রকাশক খানিকটা ভয় পেলেন। অসীম ব্যাটা হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবে না তো! প্রকাশকের চোখ রাঙানিতে অবশ্য অসীমের কিছু যাচ্ছে আসছে না।

অসীম হাটে হাঁড়িটা ভেঙেই দিলেন। বললেন, তিন বছর আগে আপনার প্রকাশনী থেকে আমার বইয়ের পরপর তিন মুদ্রণ বের হয়, যার রয়্যালটি আজ পর্যন্ত বুঝে পাইনি। আরেক জন লেখককে চিনি, যার বই মারমার কাটকাট বিক্রি না হলেও বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। তিনি আপনাকে তার বই বিক্রির হিসাবও দিতে বলেছিলেন; কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি হিসাব পাননি। আমি কি বলব সেই লেখকের নাম?

জনসমক্ষে এমন আকস্মিক আক্রমণে প্রকাশক হতভম্ভ; অপমানে লজ্জায় কুঁকড়ে যান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে প্রকাশক বললেন, অসীম আপনি বোধহয় কোথাও ভুল করছেন। একদিন আসুন আমার অফিসে। ব্যক্তিগত এসব বিষয়ে কথা বলা যাবে তখন। এটা একটা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান, এখানে এসব রয়্যালটি ফয়ালিটি নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।

অসীম সুবর্ণ প্রকাশকের কথায় হলরুম কাঁপিয়ে হো হো করে হেসে ওঠেন। আয়োজক ও দর্শক যেন দ্বিধাগ্রস্ত। তারা আসলে বুঝতে পারছেন না, কোনটা জরুরি লেখক পাওনা পরিশোধ, মানে লেখকের শ্রমের মূল্য দেওয়া, নাকি লাগাতার অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া। কেউ কেউ ভাবছেন, লেখক লিখে যাবে এটাই স্বাভাবিক, লেখার জন্য আবার দাম চাওয়া কেন!

উপস্থিত অন্য লেখকরা হয়তো অসীমের মনোভাব খানিকটা বুঝতে পারছেন। তারা মাথা নিচু করে চুপ। অন্যরাও কিছু বলছেন না। উৎসুক দর্শক তামাশা দেখার জন্য উদগ্রীব। পিনপতন নিস্তব্ধতা বিরাজ করে সমস্ত হলজুড়ে। পরিস্থিতি যেন অন্যদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে।

প্রকাশক এবার বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করেন। মিনতিভরা কণ্ঠে বললেন, অসীম, আগামীকাল বিকেলে আপনি আমার অফিসে আসেন। আপনার সব পাওনা বুঝে নিবেন। আমি বুঝতে পারছি না আমার আবার রয়্যালটি কী! এমনি এমনি তো প্রকাশক হই নাই।

অসীম এবার মুচকি হেসে বললেন, এই যে লেখকদের দীর্ঘশ্বাস। এটাই আপনার রয়্যালটি, প্রকাশক সাহেব। আমার কাছে এসব দীর্ঘশ্বাস জমা ছিল। আমি আপনাকে আজ উপস্থিত সুধীজনের সামনে তা বুঝিয়ে দিলাম।

লেখক: কথাসাহিত্যিক। বসবাস ঢাকায়। 

 

আরও পড়ুন- পলাশ মজুমদারের গল্প- রক্তমাখা চরণ তলে