পদাবলিপ্রচ্ছদ

রুশিয়া জামান রত্নার কবিতা

স্তরে স্তরে ভালোবাসা

সত্যি বলছি তোমাকে ভালোবাসি

ইচ্ছে করে তোমাকে কাছে টেনে আদর করে দিই

তোমার শুভ্র কালো চুল, ঈগল চোখ

চোখের পাতা, সুসজ্জিত বুকের লোম

সরু পাতলা দুটো ঠোঁট

কপালে স্পষ্ট হয়ে ওঠা কিছু রেখা

যেখানে স্তরে স্তরে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা

আর আছে স্বর্গ সুখের বাসা

জানো তো, তুমি আমার  কাছে এ বিশ্ব,

অস্পৃশ্য  এক বিশাল  পুস্তক।

অধরে ফুটে ওঠা মৃদু হাসি

সত্যি বলছি অনেক ভালোবাসি।

 

জোনাকির গুঞ্জন

গভীর রাত্রি~

নিঃশ্বাসের শব্দ কান পেতে শুনি

অস্পষ্ট জোনাকির গুঞ্জন ভেসে আসে

দক্ষিণ হাওয়ার ভেলায়

খিড়কি দুয়ার খোলা আছে

এক জোড়া পায়ের শব্দের অপেক্ষায়

শুকনো পাতার গালিচা বিছিয়ে

প্রকৃতি তোমায় স্বাগত জানায়

বহুদিনের তৃষ্ণার্ত দুটো ঠোঁট

তোমার  অধরের ঝর্ণার পানে চেয়ে

তারে তুমি ফেলো না অবহেলায়

ভালোবেসে জড়িয়ে রাখো গো

পরম মমতায়

 

 

রক্তিম চাঁদ

তুমি কি কখনোও লাল রঙা চাঁদ দেখেছো?

ভীষণ অভিমান জমিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত

জমাট বেঁধে সে লাল হয়!

তখন তুমি জোসনা চেও না, নচেত জোসনা নয়

তোমার গায়ে গলে গলে পড়বে রক্ত রশ্মি

তুমি ভিজে যাবে,  তুমি ভুলে যাবে

এমন ভরা জোসনায় তুমি দিশেহারা হবে!

মনে কি পড়বে  স্নিগ্ধ সে আলোয়

তুমি আমায় খুঁজতে?

ছাদে দাঁড়িয়ে  আমায় স্মরিয়া জোসনাস্নানে ডুবতে

এখন চাঁদ পানে দেখো

তোমার দেয়া হাজারটা কষ্ট বুক চিড়ে কেমন

আলো হয়ে ঠিকরে বেরুচ্ছে

পৃথিবী জুড়ে অন্ধকার নামে

আমি তো কেবল চেয়েছি তোমায় ভালোবাসার দামে।

 

 

কাকতাড়ুয়া

যদি আমার নয়নে তারে দেখতে পেতি!

যদি আমার স্নায়ু,  গাছের শিকড়ের মত

তোর স্নায়ুর সাথে জড়িয়ে পড়তো!

তারে দেখার পর অনুভূতির আলোড়ন,

তোর স্নায়ুগুলোকে একইভাবে আন্দোলিত করতো!

যেমনটা আমায় করে।

 

তুই যদি তার বুকের শ্বাস একবার শুনতি!

বুঝতি – ও কম্পনের সাথে মিশে আছে

আমার বেঁচে থাকার কারণ।

 

তার হাতের ছোঁয়া যদি পেতি!

প্রতি স্পর্শে যখন কেঁপে উঠে আত্মা, অস্থি,  মজ্জা

প্রতিবার তার আঙুলের ডগা খুন করে আমায়,

ভীষণ সুখে অথবা ভয়ানক আর্তনাদে।

তারে ছাড়া আমি যেন হৃদয়বিহীন এক কাকতাড়ুয়া।

 

তবুও কেন জিজ্ঞেস করিস,

কেন  ভালোবাসি তারে, কেন এত মায়া?

 

ফেসবুকে ফলো করুন- পরমপাঠ সাহিত্য পত্রিকা

আরও পড়ুন- টিটো মোস্তাফিজের কবিতা