প্রকাশিত হলো সুশান্ত হালদারের কবিতাগ্রন্থ- ‘ঈশ্বর ছায়ায় লুটেরা’
বই- ঈশ্বর ছায়ায় লুটেরা
কবি- সুশান্ত হালদার
ধরণ- কবিতাগ্রন্থ
প্রকাশনী- এবং মানুষ প্রকাশনী
প্রকাশক- আনোয়ার কামাল
প্রচ্ছদ শিল্পীঃ মনিরুজ্জামান পলাশ
মূল্যঃ ২৫০/-
৬ ফর্মা,
৯৬ পাতা।
ISBN No- 978-984-99680-5-4.
কবি সুশান্ত হালদারের অমর একুশে বইমেলা/২০২৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ – ‘ঈশ্বর ছায়ায় লুটেরা’ ২০২৫ সালের একুশের বইমেলায় বর্তমান সময়ের আলোচিত কবি শ্রদ্ধেয় সুশান্ত হালদার এর একটি নিরীক্ষাধর্মী কাব্যগ্রন্থ পাঠকের মুখোমুখি হয়েছে, যার নাম “ঈশ্বর ছায়ায় লুটেরা!”
তিরিশের দশকের আধুনিক কবিতার পঞ্চপুরোহিতের মধ্যে একজন রূপসী কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি তার প্রবন্ধের গ্রন্থ “কবিতার কথা”য় শুরুতেই উল্লেখ করেছিলেন “সকলেই কবিতা লিখতে পারে কিন্তু সকলেই কবি নয়।” কবি সুশান্ত হালদার এর কাব্যগ্রন্থটি সকলের জন্য নয়। “ঈশ্বর ছায়ায় লুটেরা” কাব্যগ্রন্থটি শুধুমাত্র তাদেরই জন্য যারা আপাদমস্তক কবিতাপ্রেমী, যাদের সাথে কবিতার বসবাস প্রতিদিনের এবং কবিতা যাদের নিত্যসঙ্গী। যারা কবিতাকে নিজের সন্তানের মতো ভালবাসেন তারাই উপলব্ধি করতে পারবেন এ গ্রন্থের কবিতা।
কবিতার প্রতি যে শ্রদ্ধেয় কবির দায়বদ্ধতা আছে তা তাঁর প্রতিটি কবিতা পড়লেই বুঝা যায়। কবিতায় এক ধরনের ঘোর থাকা আবশ্যক যা কবিতাকে এক অনন্য বৈশিষ্ট্য এনে দেয়। কবি সুশান্ত হালদার তার প্রতিটি কবিতায় যে ধরনের বাস্তবতার চিত্রকল্প সৃষ্টি করেছেন তা একজন সচেতন নাগরিক খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বুঝতে সক্ষম হবেন।
৬ ফর্মার বইটিতে মোট কবিতা আছে ৮৭টি, প্রত্যেকটি কবিতা যেন জীবনের কথা বলে, বর্তমান বাস্তবতার কথা বলে, ভালোবাসার কথা বলে! কবিতাগুলোতে কবির দেশপ্রেম এবং মানবতা সবচেয়ে বেশী ফুটে উঠেছে। “চতুর পুণ্যার্থী” “যদি ভালোবাসতেই হয়”
“স্মৃতি” “আল আকসার রজনী” “আত্মোৎকর্ষে স্বাধীন সার্বভৌম ভূমি” “অন্ধকার” “অস্থির এক বাংলা” “ক্ষমতা” “নরক ফেরা মানুষ আমি” “অনুচর” “আদিম পুরুষ” “ঈশ্বরের ছায়ায় লুটেরা” “মা” “পলাতক” “অগ্নীশপথ” “বাঘ দর্শনে চিতা” “কবিতা আমার হিংস্র তলোয়ার” “খোলসপূর্ণ জীবন” “মৃত্যুর বিভীষিকা” “দ্বন্ব” “উত্তরসুরী” কবিতাগুলো কবির দার্শনিক চিন্তার প্রতিফলন সুস্পষ্ট। তিনি যে অনেক চিন্তাশীল মন নিয়ে মানসিকতা নিয়ে লিখেছেন তা কবিতাগুলো পাঠ করলেই বুঝা যায়।
“ঈশ্বর ছায়ায় লুটেরা” কবির ১৯তম কাব্যগ্রন্থ! এই বাংলায় ১৯টি কাব্যগ্রন্থের জনক হওয়া সহজ কথা নয়।পাঠক বন্ধুরা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন যে কবি সুশান্ত হালদারের সাথে কবিতার সাথে বসবাস কতখানি নিবিঢ়। তার প্রায় প্রতিটি কবিতায় ইতিহাস,দর্শন, রাজনীতি সম-সাময়িক প্রেক্ষাপট এমনভাবে স্থান পেয়েছে যে একজন সচেতন মানুষ গভীর ধ্যান নিয়ে কবিতাগুলো পাঠ করতে বাধ্য।
কবি, আপনাকে জানাই শ্রদ্ধা শুভেচ্ছা ভালোবাসা। কবি শামসুর রাহমানের পরে একমাত্র আপনার কবিতার মাঝেই সেই কবিতার মিথ খুঁজে পাই, যা ছিল আমার স্বপ্নের বারান্দায়! অসম্ভব সুন্দর আপনার চিন্তাভাবনা এবং চিন্তাভাবনার প্রতিফলন। একজন মুক্তিয়োদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার যতটুকু করণীয় ছিল – তা আপনার কর্ম ও লেখালেখির মধ্য দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন, সমানভাবে এটাও প্রীতিকর এবং সুখের বৈকি।
বইটি একুশে বইমেলা/২৫, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে- এবং মানুষ প্রকাশনীর ৫৮৩ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
*বই রিভিউ করেছেন- জেমস তাপস বালা, কবি এবং শিক্ষক, বরিশাল।
*আরো নতুন বই- মুশফিকা রাহমানের কবিতাগ্রন্থ- বাইশে নয় তেইশে শ্রাবণ