কাঞ্চন ফুলের কবি লিখে মাসউদ আহমাদ ‘সেরা বাঙালি’ হলেন
ভারতের প্রভাবশালী বাংলা সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এবিপি আনন্দ কর্তৃক প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও কর্মকে কেন্দ্র করে রচিত মাসউদ আহমাদকে উপন্যাস ‘কাঞ্চনফুলের কবি’ তাঁকে ‘সেরা বাঙালি’ পুরস্কার এনে দিয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশ থেকে সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং জয়া আহসান এই পুরস্কার জিতেছেন।
হঠাৎ এক শুক্রবার, কলকাতা থেকে সুমন দে নামে একজন মাসউদ আহমাদকে ফোন করেন। কুশল বিনিময়ের পরে, সুমন দে মাসুদকে জানান – বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তাকে ‘সেরা বাঙালি ২০২৩’ পুরস্কার দেওয়া হবে।
মাসউদ আহমাদকে ফোন করেন কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবিপি আনন্দ টেলিভিশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে।
এসময় সুমন দে স্পষ্টভাবে মাসউদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে তথ্যটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাবে না।
গত ১৭ নভেম্বর তিনি কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে উচ্চশব্দ করতালির মধ্যে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এই বছরের আরেক বাংলাদেশি পুরস্কারপ্রাপ্ত চঞ্চল চৌধুরীও তার ভাষণে মাসউদের প্রশংসা করেন।
গত ২ ডিসেম্বর ABP আনন্দ পুরস্কার অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন সম্প্রচারের পর, মাসউদ এই সুখবর সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।
চলতি ২০২৩ সালের অক্টোবরে আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আনন্দ পাবলিশার্স কর্তৃক বই আকারে প্রকাশের আগে, উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২ মে পর্যন্ত আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠীর সাহিত্য পত্রিকা দেশ-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৫ সালে রাজশাহীর পুটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন মাসউদ আহমাদ। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স শেষ করার পরে তিনি ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাবস্থায়ই ছোটগল্প লিখতে শুরু করেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে মাসউদ আহমাদের পেশা জীবন শুরু হলেও বর্তমানে তিনি একজন ব্যাংকার। ‘জীববনান্দ’ নামে একটি জীববনানন্দ দাশকেন্দ্রীক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
সৌজন্যে- ABP Ananda ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড